মা এসেছেন মর্ত্যে


MISTI DEY (মিষ্টি দে)
( এবার যখন মা মর্ত্য থেকে ফিরলেন
তখন কি হলো শুনবেন-)
 

মা এসেছেন মর্ত্যে 
মিষ্টি দে

শিব ঠাকুর ধ্যানে বসলে
ধ্যান আর তার ভাঙেনা 
কিন্তু যখন ভাঙে 
তখন নিরব আর থাকেনা।
 
উমা এসেছিলেন মর্ত্যে
পাঁচটা দিনের শেষে 
ঘরে ফিরলেন রেগে
মুখ দেখে তার বুঝতে পেরে,
নন্দী ছোটে শিবের কাছে।

উমার রাগে গুর গুর গুর
মেঘের দাপাদাপি 
শিবের ধ্যান ভাঙলো দেখে
উমার ভ্রুকুটি 

কি হয়েছে প্রিয়তমা 
স্ত্রী কে সুধায় ভোলা
অঝোর ধারায় কাঁদলো উমা
শুনে শিবের গলা 

বলে উমা কেঁদে কেঁদে 
আগের বছর মর্ত্য ধামে 
কেউ করেনি কদর 
সবাই ছিলো মুখোশ পড়ে
ভয়ে জড়সড় 

মুখ খুললেই ধরবে এসে
ভাইরাস সে জবড়
আমার ও মুখ রাখলো ঢেকে 
শূন্য কলরব 

  সেজেগুজে ঠাকুর দেখা
 এলো না তো কেউ
পাঁচটা দিন পেরিয়ে গেলে
চোখের জলের ঢেউ

অনেক আশায় বুক বেঁধে তাই
এবার গিয়েছিলাম মর্ত্যে 
যত্ন আত্তি দারুণ পাবো 
মন সেজেছিলো নৃত্যে

গিয়ে দেখি উল্টো সব
গরীব হয়েছে ভক্ত 
বেঁচে থাকাটাই তাদের কাছে
হয়ে উঠেছে শক্ত 

কেড়ে নিয়েছে আপনজন 
নিষ্ঠুর সেই ভাইরাস 
জানেন প্রভু মানুষ ই এমন 
ডেকে এনেছে সর্বনাশ 

অবলা সেই মানুষগুলো
প্রাণ খুলে আর হাসে না
আমার কাছে হাত জুড়ে আর
প্রার্থনা সে করেনা ।

করুণ চোখে হতভাগ্য সব
তাকিয়ে থাকে এমন
বুকের মধ্যে ঝড় উঠে যায় 
 আমি মা হয়েছি কেমন??
 
চোখের জলে গাল ভাসিয়ে 
শিবেরে করে প্রশ্ন 
তাই দেখোনা মর্ত্য ভাসে
মায়ের চোখের জলের জন্য ।

উমার চোখের জল দেখে শিব
সইতে পারে না
ডমরু  বাজায় গুর গুর গুর
আর এমন চলবে না

ডমরুর সেই ভীষণ শব্দে
স্বর্গ মর্ত্য কাঁপলো
মহাবিশ্বের  শক্তি সকল 
পুঞ্জীভূত হলো

মায়ের চোখের জল মোছাতে 
এবার বাবার কারিগরী 
 মর্ত্যে দুঃখ দূর হলো সব
সবাই আবার হাসি খুশি ।।

 








মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

“যদিদং হৃদয়ং মম, তদস্তু হৃদয়ং তব"

আমি