পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মাঝি

মাঝি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার যেতে ইচ্ছে করে      নদীটির ওই পারে --      যেথায় ধারে ধারে বাঁশের খোঁটায় ডিঙি নৌকো      বাঁধা সারে সারে। কৃষাণেরা পার হয়ে যায়      লাঙল কাঁধে ফেলে;      জাল টেনে নেয় জেলে, গোরু মহিষ সাঁৎরে নিয়ে      যায় রাখালের ছেলে। সন্ধে হলে যেখান থেকে      সবাই ফেরে ঘরে      শুধু রাতদুপরে শেয়ালগুলো ডেকে ওঠে      ঝাউডাঙাটার 'পরে।      মা, যদি হও রাজি, বড়ো হলে আমি হব      খেয়াঘাটের মাঝি। শুনেছি ওর ভিতর দিকে      আছে জলার মতো।      বর্ষা হলে গত ঝাঁকে ঝাঁকে আসে সেথায়      চখাচখী যত। তারি ধারে ঘন হয়ে      জন্মেছে সব শর;      মানিক-জোড়ের ঘর, কাদাখোঁচা পায়ের চিহ্ন      আঁকে পাঁকের 'পর। সন্ধ্যা হলে কত দিন মা,      দাঁড়িয়ে ছাদের কোণে      দেখেছি একমনে -- চাঁদের আলো লুটিয়ে পড়ে      সাদা কাশের বনে।      মা, যদি হও রাজি, বড়ো হলে আমি হব      খেয়াঘাটের মাঝি। এ-পার ও-পার দুই পারেতেই      যাব নৌকো বেয়ে।      যত ছেলেমেয়ে স্নানের ঘাটে থেকে আমায়      দেখবে চেয়ে চেয়ে। সূর্য যখন উঠবে মাথায়      অনেক বেলা হলে --      আসব তখন চলে "বড়ো খিদে পেয়েছে গো --      খেতে দাও মা' বলে। আব

ভোর

MISTI DEY (মিষ্টি দে) ভোর মিষ্টি দে তারিখ: 30/10/2021 ক্লান্ত দুপুরের মৌন বাতাস হালকা পোশাকের অন্তরালে  কোনো এক গোপনীয়তা সৃষ্টি করছে ,  সকলের আড়ালে,  মনে করিয়ে দিচ্ছে হারিয়ে যাওয়া  প্রেমিকের উদ্ধত আচরণ । দূরে হিন্দি রোমান্টিক গানের কলি কর্কশ ভাবে কানে এসে লাগছে। মনে হচ্ছে মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে সপ্ত সুর কে করা হচ্ছে অপমান  ক্লান্ত দুপুরের মতো মন ও যেন ধীরে ধীরে হয়ে পরছে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত। তবু ও হাঁটছি  আরো একটু ক্লান্তি চাইছে মন হতে চাইছে আরো একটু উদাস চোখের জলে শুকনো পথ হচ্ছে আদ্র চলবার শক্তি হয়ে যাক ক্ষীণ  ক্লান্তিতে চোখ আসুক বুজে মূহুর্তে হারিয়ে যাক চেতনা সমস্ত সৃষ্টি যাক মুছে  ক্লান্ত দুপুরের অবসানে সায়াহ্নের প্রভাতে  কোনো এক অন্ধকার কে ভালোবেসে অন্ধকারকে কাছে টেনে  খুঁজে পেতে চায়  অতি প্রতিক্ষীত ঘুমের সন্ধান। অবশেষে নতুন ভোরের আদরে নব জীবনের সূত্রপাত ।

বাউন্ডুলে

MISTI DEY (মিষ্টি দে) বাউন্ডুলে মিষ্টি দে চলো আজ সব কিছু ছেড়ে, বেড়িয়ে পড়ি অজানার উদ্দশ্যে বেপরোয়া, বাউন্ডুলে, উ র ন চন্ডী  বেশে যেখানে ক্লান্তি হাঁটু গেড়ে বসে বেঁচে থাকবার ভিক্ষা চাইবে আর অবজ্ঞার হাসি হেসে বিদায় জানাবো অবহেলে উচ্চ কন্ঠে গাইবো সেই গান যার সুরে মিশে আছে রামধনুর সাত রং সরগম এর সাত সুর,  আর অনাবিল আনন্দ। তাণ্ডবের তালে পা মিলিয়ে পেরিয়ে যাবো দূর্গম সব পথ কখনো পাহাড়, কখনো ঘন অরন্য কখনো সাগরের রহস্য সৃষ্টি করবো নতুন অনুভূতির এক দেশ যেখানে ধ্বংস স্তূপ থেকে জন্ম নেবে নতুন কবিতা বাউন্ডুলে, বেপরোয়া সাধকের বেশে।।